ওয়েবসাইট সিকিউরিটির কথা ভাবা জরুরি কেন?

ওয়েবসাইট সিকিউরিটির কথা  ভাবা জরুরি কেন?

বর্তমানে ডিজিটাল দুনিয়ার অগ্রগতির সাথে ওয়েবসাইট তৈরি করা এখন ব্যবসার মূল অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড়, মাঝারি কিংবা ক্ষুদ্র যে কোনো ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিগত উদ্যোগের জন্য একটি ওয়েবসাইট অপরিহার্য। তবে বর্তমান সময়ে কম খরচে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের অফারগুলো যেন লোভনীয় ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবতার সাথে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ? এর পেছনে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা অনেকেই নজর দেন না। কম খরচে ওয়েবসাইট তৈরির সময় নিরাপত্তার বিষয়গুলো এড়িয়ে গেলে কত বড় ক্ষতি হতে পারে, তা অনেকেই বুঝতে পারেন না।

কম খরচে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের প্রমোশনাল ফাঁদ

আজকাল ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে চোখ রাখলেই দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অফার। মাত্র ৫০০ টাকা থেকে ৯৯৯ টাকায় প্রিমিয়াম থিমসহ একটি ওয়েবসাইট বানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এর সাথে কখনো ফেসবুক বুস্টিং ফ্রি দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথমে এসব অফার অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। কিন্তু এই অফারগুলোর পেছনের আসল উদ্দেশ্য কী?

একটি ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট মানে হলো ওয়েবসাইটের ডেটা, নিরাপত্তা এবং স্বতন্ত্রতার নিশ্চয়তা। যেহেতু ওয়েবসাইট তৈরির মূল লক্ষ্য থাকে ব্যবসা বা ব্যক্তিগত উদ্যোগকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরা, তাই ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা এবং মানের বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। কম খরচে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টে মূলত যা হয় তা হলো, আপনাকে একটি প্রস্তুতকৃত থিম বা টেমপ্লেটের মাধ্যমে ওয়েবসাইট দেওয়া হয়। যা দেখতে সাধারণ এবং কোনো আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে না। কিন্তু সমস্যা এখানেই শেষ নয়।

নিরাপত্তার ফাঁদ

কম খরচে ওয়েবসাইট তৈরি করতে গিয়ে আপনি নিজের এবং আপনার ব্যবসার সিকিউরিটি কম্প্রোমাইজ করছেন। একটি ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এর সিকিউরিটি ব্যবস্থা। আপনার ওয়েবসাইটের ডেটা, কনটেন্ট এবং ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কম খরচে তৈরি করা ওয়েবসাইটগুলোতে নিরাপত্তার বিষয়গুলো যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হয় না।

এমনকি কখনো কখনো দেখা যায় যে সাইটটি কিছুদিন পর হ্যাক হয়ে যায়, বা আপনি নিজেই সাইটে এক্সেস করতে পারেন না। ওয়েবসাইটের মালিকানা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়, এবং সাইটটি ডেভেলপার নিজের করে দাবি করতে পারে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বিক্রি করে দেওয়া হয় বা বড় অঙ্কের অর্থ দাবির জন্য হোস্টিং বা ডোমেইনের এক্সেস পরিবর্তন করে ফেলে।

কম খরচের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কেন ক্ষতিকর?

ওয়ার্ডপ্রেস প্রিমিয়াম থিম এবং প্লাগইনস
ওয়ার্ডপ্রেস থিম বা প্লাগইন উন্নয়ন একটি সময়সাপেক্ষ এবং অত্যন্ত দক্ষতার প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া। প্রিমিয়াম থিম বা প্লাগইনসের দাম কখনোই ৫০০-১০০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। সুতরাং এত কম খরচে প্রিমিয়াম থিম এবং অন্যান্য সেবা দেওয়ার প্রস্তাব শুনলে সাবধান হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সম্ভাবনা রয়েছে যে, থিম বা প্লাগইনগুলি হয়তো অবৈধভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বা নিম্নমানের কিছু থিম ব্যবহার করা হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে সাইটের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

কম খরচে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের সুরক্ষা ঝুঁকি
এই ধরনের সেবা গ্রহনের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি হলো সুরক্ষা। একটি ওয়েবসাইটের সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে আপনার ব্যবসার তথ্য এবং গ্রাহকদের তথ্য থাকে। কম খরচের জন্য যদি এমন কোনও সেবা প্রদানকারীকে বেছে নেওয়া হয়, যারা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না, তবে তা ডেটা হ্যাক, স্প্যামিং এবং অন্যান্য সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করে।

আকর্ষণীয় প্রস্তাব এবং সেগুলোর প্রকৃত উদ্দেশ্য

প্রতিটি আকর্ষণীয় প্রস্তাবের পিছনে একটি উদ্দেশ্য থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কম খরচের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রস্তাব দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য কাস্টমার আকৃষ্ট করা এবং পরে তাদের থেকে অন্যভাবে আয় করা। সাধারণত, প্রাথমিকভাবে আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়ে গ্রাহকদের মন জয় করা হয় এবং পরে অন্যান্য নানা ধরনের চার্জ ধাপে ধাপে চাপিয়ে দেওয়া হয়।

সাধারণ ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার
সস্তায় ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাধারণ কৌশল হলো, একটি সাধারণ বা তৈরি করা ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করা। অর্থাৎ, আপনি যে ওয়েবসাইটটি পাচ্ছেন তা অনন্য নয়। একই ফ্রেমওয়ার্ক একাধিক ক্লায়েন্টের জন্য কপি-পেস্ট করা হয়। ফলে আপনার সাইটের মৌলিকত্ব থাকে না এবং এটি আপনার ব্র্যান্ড ইমেজের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

 বিক্রয়োত্তর সেবা
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, এই সস্তা সেবা প্রদানকারীরা বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ব্যর্থ হয়। যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কোনো সমস্যা খুঁজে পাবেন বা উন্নয়নের প্রয়োজন হবে, তখন তারা আপনাকে সঠিক সেবা দিতে পারবে না। পাশাপাশি, আপনার সাইটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত চার্জের মুখোমুখি হতে হবে।

সিকিউরিটির ক্ষেত্রে ঝুঁকি

কম খরচে তৈরি করা ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিগুলোর মধ্যে একটি হলো সিকিউরিটি। সিকিউরিটি ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকলে, আপনার সাইট সহজেই হ্যাক হতে পারে বা অন্য কোনও সাইবার আক্রমণের শিকার হতে পারে। সাইট হ্যাক হওয়ার ফলে আপনার ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ ডেটা চুরি হতে পারে, যা ব্যবসার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

মানহীন থিম ও টেমপ্লেট ব্যবহারের ফলে ক্ষতি

কম খরচে ওয়েবসাইট বানানোর জন্য ডেভেলপাররা সাধারণত বিনামূল্যের বা সস্তা থিম এবং টেমপ্লেট ব্যবহার করে। এতে আপনার ওয়েবসাইট দেখতে সুন্দর হলেও এর নিরাপত্তা ও গুণগত মানের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় না। এই ধরনের থিম বা টেমপ্লেটগুলো সাধারণত হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি বেশি বহন করে।

ফ্রেমওয়ার্কের সীমাবদ্ধতা

কম খরচের ওয়েব ডেভেলপমেন্টে সাধারণত এমন একটি সাধারণ ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করা হয় যা অন্য অনেক সাইটেও ব্যবহৃত হয়। এতে ওয়েবসাইটটি নতুনত্ব হারিয়ে ফেলে এবং অনেক ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটটি আপনার ব্র্যান্ডের সাথে মানানসই হয় না। এতে করে ব্যবসার পরিচিতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যায়।

গোপন শর্তাবলীর প্রভাব

অনেক সময় সস্তা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসের পেছনে লুকানো শর্তাবলী থাকে, যা শুরুতে আপনি লক্ষ্য করেন না। ডোমেইন এবং হোস্টিং এর মালিকানা প্রতিষ্ঠানটির কাছে রেখে তারা আপনার সাইটের ওপর পুরো নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায়। আপনি যদি আপনার সাইটের নকশা বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলোতে পরিবর্তন আনতে চান, তখন অতিরিক্ত খরচের চাপ আসে, যা শুরুতে বলা হয়নি।

অদক্ষ সাপোর্ট এবং সার্ভিসের অভাব

কম খরচে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিগুলো সাধারণত তাদের ক্লায়েন্টদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সাপোর্ট এবং রেগুলার মেইনটেনেন্স প্রদান করে না। ফলে আপনার ওয়েবসাইটে যেকোনো সমস্যা হলে বা হ্যাকিংয়ের শিকার হলে আপনি দ্রুত সাপোর্ট পান না। এতে করে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে এবং আপনার সাইটের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ে।

কী ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে:

১. হ্যাকিং
একটি কম দামের ওয়েবসাইটে সাধারণত সঠিক সিকিউরিটি সেটআপ করা হয় না। ফলে হ্যাকাররা সহজেই এর দুর্বলতাগুলো খুঁজে পেতে পারে এবং তা ব্যবহার করে সাইট হ্যাক করতে পারে।

২. ম্যালওয়্যার আক্রমণ
কম খরচে তৈরি করা ওয়েবসাইটে ম্যালওয়্যার প্রবেশের সম্ভাবনা বেশি থাকে। ম্যালওয়্যার আপনার সাইটে প্রবেশ করলে আপনার সাইটের সমস্ত ডেটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা পুনরুদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হতে পারে।

৩. ডিডিওএস (DDoS) আক্রমণ
কম সুরক্ষিত ওয়েবসাইটগুলো Distributed Denial of Service (DDoS) আক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। এই ধরনের আক্রমণে সাইটের সার্ভার অতিরিক্ত ট্র্যাফিকের চাপ নিতে পারে না, ফলে সাইট ডাউন হয়ে যায় এবং গ্রাহকরা আপনার সাইটে প্রবেশ করতে পারেন না।

কেন এই সেবা প্রোভাইডাররা এই ধরনের প্রস্তাব দেয়

এ ধরনের সেবা প্রোভাইডাররা প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের ব্যবসার প্রসারের উদ্দেশ্যে এমন আকর্ষণীয় অফার দেয়। তবে অনেক সময় এই অফারের পিছনে থাকা উদ্দেশ্য থাকে আরও বড় কিছু। তারা হয়তো পরবর্তীতে অন্যান্য সেবার মাধ্যমে অতিরিক্ত আয় করতে চায়, যেমন ওয়েবসাইটের মেইনটেন্যান্স, হোস্টিং রিনিউয়াল বা অন্যান্য সেবা দেওয়ার মাধ্যমে।

১. ডেটা বিক্রয়
কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইট তৈরি করে দেওয়ার পর আপনার ডেটা চুরি করে এবং তা বিক্রি করে। এই ডেটার মধ্যে আপনার ক্লায়েন্টের ইমেল, ফোন নম্বর, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য থাকতে পারে, যা চুরি হলে আপনার ব্যবসার সুনাম নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি আইনি সমস্যায়ও পড়তে পারেন।

২. আপনার ব্যবসার উপর নিয়ন্ত্রণ
অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সাইট তৈরির পর প্রতিষ্ঠানটি আপনার ওয়েবসাইটের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রেখে দেয়। ফলে, যেকোনো সময় তারা আপনার সাইট বন্ধ করে দিতে পারে বা সেটার উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এটি আপনার ব্যবসার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

সঠিক ডেভেলপমেন্ট পদ্ধতির পরামর্শ

সঠিকভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং সেটার সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আপনাকে কিছু বিষয় নিশ্চিত করতে হবে:

১. পেশাদার প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করুন
পেশাদার এবং নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করলে তারা আপনার ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি, পারফরম্যান্স এবং অন্যান্য বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে দেখবে।

২. রেগুলার মেইনটেন্যান্স সেবা নিন
ওয়েবসাইটের রেগুলার মেইনটেন্যান্স সেবা নিশ্চিত করা জরুরি। ওয়েবসাইট মেইনটেন্যান্সের মাধ্যমে সাইটের সুরক্ষা বৃদ্ধি করা যায়, যা হ্যাকিং বা অন্যান্য আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।

৩. ফায়ারওয়াল এবং SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার
ওয়েবসাইটের সুরক্ষার জন্য ফায়ারওয়াল এবং SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করা উচিত। এটি সাইটে অবাঞ্ছিত ট্রাফিক প্রবেশ রোধ করে এবং সাইটের ডেটা এনক্রিপ্ট করে রাখে, ফলে হ্যাকাররা সহজে সাইটে প্রবেশ করতে পারে না।

আপনার করণীয় কী?

আপনি যদি একজন Non-Tech ব্যক্তিত্ব হন এবং আপনার জন্য ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হয়, তাহলে কিছু বিষয় মাথায় রেখে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত:

১. রিভিউ এবং রেফারেন্স যাচাই করুন

যে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছ থেকে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস নিচ্ছেন, তার পূর্ববর্তী গ্রাহকদের মতামত, রিভিউ এবং রেফারেন্স যাচাই করুন। একটি ভালো ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহণে এগুলো অনেক সাহায্য করবে।

২. প্রতিষ্ঠানটির অভিজ্ঞতা যাচাই করুন

যে প্রতিষ্ঠানটি আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করবে, তারা কতদিন ধরে এই ধরনের সেবা প্রদান করে আসছে তা যাচাই করুন। প্রতিষ্ঠানটির পেছনে একটি দীর্ঘমেয়াদী অভিজ্ঞতা থাকলে তাদের প্রতি আপনার আস্থা বাড়তে পারে।

৩. সিকিউরিটি নিয়ে আপোষ করবেন না

ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি ইস্যু কোনোভাবেই উপেক্ষা করা উচিত নয়। কম খরচে ওয়েবসাইট তৈরি করতে গিয়ে সিকিউরিটির সাথে আপোষ করবেন না। আপনি যদি আপনার ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা এবং সাইটের অন্যান্য অংশকে সুরক্ষিত রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাগ্রে রাখতে হবে।

ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হোন

আপনার ব্যবসার ভবিষ্যৎ যাতে সুরক্ষিত থাকে, তার জন্য ওয়েবসাইটের মেইনটেনেন্স এবং সিকিউরিটি রেগুলার মনিটরিং করা অত্যন্ত জরুরি। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেবার ক্ষেত্রে সস্তা প্রস্তাবগুলো আকর্ষণীয় হলেও, বাস্তবে এগুলো অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি আপনার ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রক্ষা করে। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে, প্রফেশনাল সার্ভিস গ্রহণ করা দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হয় এবং ব্যবসার নিরাপত্তা ও সুনাম বজায় রাখে।

সতর্কতা: কখনোই আপনার ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং ওয়েবসাইট সুরক্ষার সাথে আপোষ করবেন না।



Previous Post Next Post