লাভজনক ব্লগিং/ কনটেন্ট ক্রিয়েশন নিশ মনিটাইজ করার পদ্ধতি

content creation monetization

লাভজনক ব্লগিং বা কনটেন্ট ক্রিয়েশনের জন্য নিশ মনিটাইজ করার পদ্ধতিগুলি জানা খুবই প্রয়োজন আপনি যদি একজন দক্ষ কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে চান তাহলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন। লাভজনক ব্লগিং/ কনটেন্ট ক্রিয়েশন  নিশ মনিটাইজ করার পদ্ধতি:

১. নিশ নির্বাচন

প্রথমেই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট নিশ বা বিষয়বস্তু নির্বাচন করতে হবে। নিশ নির্ধারণ করার  সময় যে বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন।

  • প্রবণতা: বর্তমানের ট্রেন্ডিং এবং জনপ্রিয় বিষয়বস্তু।
  • আগ্রহ: যেসব বিষয় আপনি লিখতে বা তৈরি করতে আগ্রহী।
  • চাহিদা: যে বিষয়বস্তুগুলির উপর মানুষের চাহিদা বেশি।
  • প্রতিযোগিতা: যেখানে প্রতিযোগিতা কম কিন্তু সুযোগ বেশি।

২. কোয়ালিটি কনটেন্ট তৈরি

নিশ নির্ধারণ করার পর, সেই বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে কোয়ালিটি সম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। কনটেন্ট তৈরির সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনোযোগ সহকারে বিবেচনায় রাখুন:

  • প্রয়োজনীয়তা: কনটেন্টটি পাঠকদের জন্য উপকারী এবং প্রয়োজন হওয়া উচিত।
  • মৌলিকতা: কনটেন্টটি মৌলিক এবংআকর্ষণীয় হওয়া উচিত।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO): কনটেন্টটি সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজ করতে হবে যাতে এটি ইউজারা কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করলে খুঁজে পায়।

৩. ভিজিটর বৃদ্ধি করুন 

আপনার কনটেন্ট যত বেশি মানুষ দেখবে, ততই মনিটাইজেশন সহজ হবে। ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য কিছু কৌশল ব্যবহার করুন যেন দ্রুত ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন:

  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট শেয়ার করা
  • ইমেইল মার্কেটিং: সাবস্ক্রাইবারদের নিয়মিত ইমেইল আপডেট পাঠানো।
  • গেস্ট পোস্টিং: অন্যান্য জনপ্রিয় ব্লগে গেস্ট পোস্ট করা।
  • ফোরাম এবং গ্রুপে অংশগ্রহণ: quora, linkedin এর মত জনপ্রিয় ফোরামগুলোতে জয়েন করুন, যেখানে আপনার নিশের বিষয়ে আলোচনা হয় সেখানে যোগদান করুন।

৪. মনিটাইজেশন পদ্ধতি

ব্লগিং বা কনটেন্ট ক্রিয়েশনের মাধ্যমে আয় করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হল গুগল অ্যাডসেন্স, স্পন্সর, এফিলেট ইত্যাদি।

গুগল অ্যাডসেন্স: আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করা।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: পণ্য বা সেবার রিভিউ এবং সুপারিশ করে কমিশন উপার্জন করা।

স্পন্সরশিপ: বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা কোম্পানির সাথে চুক্তি করে স্পন্সর নেওয়ার মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি করা।

ইনফোপ্রোডাক্টস বিক্রয়: ই-বুক, কোর্স, ওয়েবিনার ইত্যাদি বিক্রি করা।

প্রিমিয়াম কনটেন্ট: সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিতে প্রিমিয়াম কনটেন্ট সরবরাহ করা।

জনপ্রিয় কিছু নিশ এবং মনিটাইজ করার পদ্ধতি 

বর্তমানে কনটেন্ট ক্রিয়াশনের জন্য প্রচুর নিশ রয়েছে কিন্তু তার মধ্যে কিছু নিশ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। নিচে নিশ এর তালিকা দেওয়া হল, এবং কিভাবে সেগুলোকে মনিটাইজ করবেন তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

০১। রেসিপিঃ অ্যাডসেন্স, অফার কিছেন এক্সেসরিস, ফুড ব্র্যান্ড স্পন্সরশীপ

বিভিন্ন রকমের রান্নার আইটেম তৈরি করে সেগুলো ভিডিও ধারণ করা কিংবা ব্লগিংয়ের মাধ্যমে রেসিপির তথ্য শেয়ার করা বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় নিশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি রেসিপি নিশ নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করেন তাহলে আপনার কনটেন্ট এর মাধ্যমে কিচেনের এক্সেসরিজ সেল করতে পারবেন তাছাড়া ফুড ব্র্যান্ডের যেকোনো পণ্য প্রচার করার মাধ্যমে স্পন্সর পেতে পারেন, গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে।

০২। ফুড রিভিউঃ অ্যাডসেন্স, রেস্টুরেন্ট স্পন্সরশীপ

আপনি যদি নিজে রেসিপি তৈরি না করতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন নামিদামি রেস্টুরেন্ট / ব্র্যান্ডের খাবার টেস্ট করে সেগুলোর রিভিউ দেওয়ার মাধ্যমে ফুড রিভিউ নিশ নিয়ে কাজ করতে পারেন। বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় নিশ। আপনি যদি ফুট রিভিউ নিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনি এডসেন্স এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের স্পন্সরের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

০৩। টিউটোরিয়ালঃ অ্যাডসেন্স, অ্যাঁফিলিয়েট মার্কেটিং

অন্যকে শিক্ষা দেওয়ার এবং বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে টিউটোরিয়াল কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। বর্তমানে শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে টিউটোরিয়াল তৈরি করে ভালো অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। আপনি যদি রেগুলার বেসিক টিউটোরিয়াল কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে তা ছাড়া এফলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সর পোস্ট ইত্যাদিও রয়েছে।

০৪। প্রোডাক্ট রিভিউঃ অ্যাডসেন্স, অ্যাঁফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশীপ

আমরা যখনই কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করতে চাই তখন সেই প্রোডাক সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন যার ফলে আমরা ইউটিউব গুগলের সার্চ করি। আর আপনার যদি প্রোডাকশন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহলে আপনি প্রোডাক্ট রিভিউ নিয়ে কাজ করতে পারেন। প্রডাক্ট রিভিউ বর্তমানে একটি জনপ্রিয় নিশ, প্রডাক্ট রিভিউ নিয়ে কাজ করলে আপনি এডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং স্পন্সর পোস্ট এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

০৫। ব্রেকিং নিউজঃ অ্যাডসেন্স, স্পন্সরশীপ

প্রতিদিনের নিউজ আপডেট দেওয়ার মাধ্যমে ব্লগিং বা কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে আয় করার জন্য গুগল অ্যাডসেন্স এবং স্পন্সরশিপ খুবই জনপ্রিয় এবং কার্যকর পদ্ধতি। তবে তার জন্য আপনাকে প্রতিদিন নতুন নতুন নিউজ পাবলিশ করতে হবে।

০৬। ট্রাভেল গাইড: অ্যাডসেন্স, অফার ট্যুর সম্পর্কিত পণ্য 

প্রতিটা মানুষ গমন করতে পছন্দ করে আমরা যখন কোথাও যাই তখন সেই জায়গার সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের তথ্য জানার চেষ্টা করি এর উপর বৃদ্ধি করে ট্রাভেলিং গাইড লাইনের কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরু করা যেতে পারে। আপনি যদি ট্রাভেলিং গাইডলাইনের কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরু করেন তাহলে গুগল এডসেন্স স্পনসরশিপ এবং বিভিন্ন এজেন্সির এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

০৭। ইতিহাসঃ অ্যাডসেন্স, অফার ঐতিহাসিক গল্পের বই

মানুষ সৃষ্টিলগ্ন থেকে অজানার ইতিহাস কে জানার জন্য কৌতুহল প্রকাশ করে আর আপনার যদি ইতিহাস সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে! তাহলে ইতিহাস সম্পর্কে কন্টেন্টেশন করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এডসেন্সের মাধ্যমে। তাছাড়া বিভিন্ন ঐতিহাসিক বই সেল করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে।

০৮। বিউটি ও ফ্যাশনঃ অ্যাডসেন্স, অ্যাঁফিলিয়েট মার্কেটিং, অফার প্রসাধনী পণ্য

বর্তমান ডিজিটাল যুগে বিউটি এবং ফ্যাশন সকলেরই প্রয়োজন আর আপনার যদি বিউটি এবং ফ্যাশন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহলে এই ধরনের কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ডিউটি এবং ফ্যাশন নিয়ে কাজ করলে আপনি  এডসেন্স থেকে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন তাছাড়া বিভিন্ন এজেন্সির মার্কেটিং করে, বিউটি এবং ফ্যাশন রিলেটেড পণ্য সেল করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

০৯। ব্যবসায়ীক পরামর্শঃ অ্যাডসেন্স, অফার প্রোফেসনাল ট্রেনিং

আপনার যদি ব্যবসা সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা তাকে তাহলে আপনি অন্যদেরকে ব্যবসায়িক পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরু করতে পারেন। এই ধরনের কনটেন্টগুলো এডসেন্স অ্যাপ্রভাল করিয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাছাড়া প্রফেশনাল ট্রেনিং সেন্টার দিয়ে নিজে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অন্যদেরকে বিজনেস প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

১০। অনলাইন বা ডিজিটাল মার্কেটিং – অ্যাডসেন্স,  অ্যাঁফিলিয়েট মার্কেটিং, অফার প্রোফেসনাল ট্রেনিং

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে কোন ব্র্যান্ড বা পণ্য প্রচারণার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহলে অন্যদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং সংক্রান্ত কনটেন্ট তৈরি করে অন্যদের সাহায্য করতে পারেন। এই ধরনের কনটেন্ট থেকে ভালো অর্থ উপার্জন করা যায়। এডসেন্স অ্যাপ্রভাল করিয়ে এফিলেট মার্কেটিং করে তাছাড়া সার্ভিস সেল করে উপার্জন করা যায়।

১১। ব্লগিং পরামর্শঃ অ্যাডসেন্স, অ্যাঁফিলিয়েট মার্কেটিং

আপনার যদি প্রফেশনাল ব্লগিং স্কিল থাকে তাহলে অন্যদেরকে ব্লগিং শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন যেগুলো এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন তাছাড়া এফিলেট মার্কেটিং করেও মনিটাইজ করা যায় ।

১২। তারকালাপ বা গসিপিং – অ্যাডসেন্স

আপনি যদি মুভি লাভার হয়ে থাকেন এবং মুভি সংক্রান্ত তথ্য আপডেট দেওয়ার মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরু করতে পারেন। এই ধরনের কনটেন্ট গুলো গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজ করা যায়।

১৩। স্বাস্থ্য-সচেতনতামূলক পরামর্শঃ অ্যাডসেন্স, অফার স্বাস্থ্যসেবা ও মেডিকেল পণ্য

আপনি যদি একজন মেডিকেল এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অন্যদেরকে মেডিকেল সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করতে পারেন যে কনটেন্ট গুলো আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে মনিটাইজ করাতে পারবেন তাছাড়া স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনো পণ্য ইউজারদেরকে অফার করতে পারেন।

১৪। গৃহপালিত প্রাণীঃ অ্যাডসেন্স, অ্যাঁফিলিয়েট মার্কেটিং

আপনি যদি প্রাণী লাভার হয়ে থাকেন তাহলে গৃহপালিতপ্রাণী সংক্রান্ত কনটেন্ট তৈরি করে এবং গৃহপালিত প্রাণী বিভিন্ন তথ্য সংক্রান্ত শেয়ার করে কনটেন্ট তৈরি করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজ করাতে পারবেন। এই ধরনের কনটেন্টের মাধ্যমে ভালো অর্থ উপার্জন করা যায়, তাছাড়া গৃহপালিত প্রাণীক্রান্ত যেকোন সেবা প্রদান করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়।

১৫। খেলাধুলাঃ অ্যাডসেন্স, অফার স্পোর্টস সম্পর্কিত পণ্য, উদাহরণঃ জার্সি, সু (অ্যাঁফিলিয়েট মার্কেটিং)

আমরা শত ব্যস্ততার মাঝেও বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আপডেট পেতে পছন্দ করি তাই এই ধরনের কনটেন্ট গুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আপনি যদি খেলাধুলার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন তাহলে এই ধরনের নিত্য-নতুন আপডেট দেওয়ার মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরু করতে পারেন। খেলাধুলা সংক্রান্ত কনটেন্টগুলো গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে এপ্রুভাল করানো যায় তা ছাড়া বিভিন্ন স্পোর্টস পণ্য সেল করার মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করা যায়।

১৬। ফাইন্যান্স বা আর্থিক পরামর্শঃ অ্যাডসেন্স, অফার প্রোফেসনাল ট্রেনিং

ফাইনান্স এবং আর্থিক পরামর্শ একটি জনপ্রিয় নিশ, আপনার যদি ফাইন্যান্স এবং অর্থনীতি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহলে এই ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে অন্যদের যে কোন পরামর্শ দিতে পারেন। এই ধরনের কনটেন্ট গুলো গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে মনিটাইজ করা যায়। তাছাড়া প্রফেশনাল ট্রেনিং সেন্টার দিয়ে অন্যদেরকে ফাইন্যান্স এবং অর্থনীতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন।

এই ব্লগের মাধ্যমে যে জনপ্রিয় নিশগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করি, আপনি যদি যেকোনো একটা নিশ বাছাই করে কন্টেন্ট ক্রিয়েশন শুরু করেন! তাহলে আশা করা যায়, আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। পাশাপাশি নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

Previous Post Next Post