কেরিয়ার হিসাবে সেরা ১০ টি কর্মসংস্থান | top 10 career options

top 10 career options


চাকরির বাজারে দিন দিন প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং সময়ের সাথে সাথে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। আজকের এই ব্লগে আলোচনা করব বাংলাদেশের সেরা 10 টি কর্মসংস্থান নিয়ে যেকোনো একটি আপনি ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে  চাকরির বাজার দিন দিন কঠিন হচ্ছে,এবং দিন দিন প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে কিছু  সেক্টরে চাকরির চাহিদা থাকবে সর্বোচ্চ সম্মানের, যেসব সেক্টরে আপনি চাইলে মানসম্মত ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন।

কেরিয়ার হিসাবে সেরা ১০টি কর্মসংস্থান 

১.আইটি  সেক্টর

বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার কর্মসংস্থান হল আইটি সেক্টর। তথ্য প্রযুক্তির আবিষ্কারের পর থেকে ইনফরমেশন টেকনোলজি নিয়ে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলস্বরূপ সৃষ্টি হচ্ছে আইটি সেক্টরের নতুন নতুন কর্মসংস্থান। সমগ্র বিশ্বে আইটি সেক্টরের প্রচুর চাহিদা থাকায় বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য কথা আইটি সেক্টরে বাংলাদেশে এখনো দক্ষ এমপ্লয়ি পাওয়া যায় না। আপনি যদি আইটি সেক্টরে এক্সপার্ট হিসেবে নিজের স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন তাহলে আপনার আইটি সেক্টরের কাজের অভাব হবে না। 

২.হিউম্যান রিসোর্স

প্রতিটা কোম্পানির হিউম্যান রিসোর্স সেক্টর রয়েছে, মূলত কোন কোম্পানির দক্ষ জনবল নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ নিয়ে হিউম্যান রিসোর্স সেক্টর তৈরি করা হয়। আপনি যদি হিউম্যান রিসোর্স সেক্টরে কাজ করতে চান তাহলে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্টাডি করতে হবে। জানতে হবে কিভাবে একটা ব্যবসা পরিচালনা করা যায়, ব্যবসা উন্নয়নে কিভাবে দক্ষ জনবল নিয়োগ প্রদান করতে হয়। 

৩.ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্স

আর্থকি লেনদেন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাংকিং এবং ফাইনান্স হিসেবে ধরা হয়। একটা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো ব্যাংকিং এন্ড ফাইনান্স। বাংলাদেশেও ব্যাংকিং এবং ফাইনান্সের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে আপনি যদি এই সেক্টরে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে ব্যাংকিং এবং ফাইনান্স নিয়ে স্টাডি করতে হবে এবং এর পাশাপাশি জানতে হবে কিভাবে অর্থনীতিতে নিজের ভূমিকা পালন করা যায়। 

৪.এনজিও

বাংলাদেশের প্রচুর এনজিও রয়েছে যেগুলো নন গভমেন্ট সেবা প্রদান করে। এই ধরনের এনজিওতে ভালো মানের বেতন প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি প্রফেশনাল ক্যারিয়ার তৈরি করতে চান তাহলে বিভিন্ন এনজিওতে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন। তবে এনজিওতে চাকরি করার জন্য প্রচুর ডেডিকেশন মাইন্ড সেটআপ নিয়ে কাজ করতে হবে। আপনি যদি পরিশ্রমী ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে এনজিও তে চাকরি করার কথা চিন্তা ভাবনা করতে পারে। 

৫.টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ

একটা দক্ষ জাতি তৈরি করার জন্য দক্ষ শিক্ষকের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনি যদি একজন ভালো শিক্ষক হতে পারেন তাহলে এটা হতে পারে আপনার সারা জীবনের আদর্শ শিক্ষা দেওয়ার পন্থা। আপনি যদি নিজের আদর্শ অন্যদের শিক্ষা দিতে চান তাহলে টিচিং আপনার জন্য আর আপনি যদি কৌতুহোলি মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন রিসার্চ সেন্টারে চাকরি করতে পারেন। বড় বড় কোম্পানি নিজেদের পণ্য, সেবার মান উন্নয়ন করার জন্য রিসার্চ সেক্টর তৈরি করে। আপনি যদি একজন রিসার্চার হিসাবে কাজ করেন তাহলে আপনার ক্যারিয়ার ভ্যালু হয়ে যাবে হাই।

৬.মেডিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস

মেডিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। আপনি যদি এই ধরনের চাকরির প্রত্যাশী হয়ে থাকেন তাহলে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড এ লেখাপড়া করা প্রয়োজন। তাছাড়া মেডিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস চাকরির প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে, কেরিয়ার ডিমান্ড হাই লেবেল। যদিও মেডিকেলে পড়া অনেক কঠিন এবং পরিশ্রমের ব্যাপার কিন্তু আপনি যদি এখানে সফল জার্নি শুরু করতে পারেন তাহলে সুন্দর ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবেন।

৭.আরএমজি RMG

আরএমজির পূর্ণরূপ হল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (Resource Management Group)। এই শব্দটি মূলত গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। তৈরি পোশাকের একটি সাধারণ সংক্ষেপ। বাংলাদেশী আরএমজি সেক্টর, তৈরি পোশাক। আপনি যদি এই সেক্টরে ক্যারিয়ার তৈরি করতে চান তাহলে প্রচুর পরিশ্রমই এবং পোশাকশিল্প দিয়ে স্টাডি করা প্রয়োজন। 

৮.ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেক্ট

যেকোনো কিছু তৈরি করার পেছনে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে আমরা যত সুন্দর সুন্দর বিল্ডিং দেখি সবকিছুই ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকের উপর নির্ভর করে তাছাড়া বড় ধরনের যত কোম্পানির রয়েছে সকল কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর রয়েছে। আপনি যদি ইঞ্জিনিয়ারিং পেশাকে ভালোবাসেন তাহলে এখানে রয়েছে সম্মানজনক ক্যারিয়ার। 

৯.সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং

কোন পণ্য বা সেবা সেল করার জন্য সেল এবং মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটা কোম্পানির সেলস এবং মার্কেটিং সেক্টর রয়েছে। আপনি যদি মানুষদের সাথে গুছিয়ে কথা বলতে পারেন তাহলে এই সেক্টর আপনার জন্য। শুধুমাত্র প্রতিভাবান দক্ষ এবং কৌশলী ব্যক্তিরায় মার্কেটিং সেক্টরে ভালো কেরিয়ার তৈরি করতে পারে। তাছাড়া মার্কেটিং এর উপর ডিগ্রী অর্জন করে আপনি শিখতে পারেন কিভাবে মার্কেটিং করতে হয়।

১০.ক্রিয়েটিভ মিডিয়া

বর্তমানে ইউটিউব ফেসবুক এর মত সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসাবে বেশ সুন্দর ক্যারিয়ার তৈরি করেছেন। আপনি যদি ক্রিয়েটিভ মিডিয়াতে কাজ করেন তাহলে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি এবং জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারবেন। এই সেক্টরে কাজ করার জন্য প্রচুর ডেডিকেশন, সঠিক দক্ষতা এবং কাজ করার মাইন্ডসেট নিয়ে লেগে থাকলে আপনি ক্রিয়েটিভ মিডিয়াতে ভালো কিছু করতে পারবেন।

উপসংহার: আশা করি আজকে যে ১০ টি ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করেছি এখান থেকে যেকোনো একটি ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে পারেন এবং সুন্দর ক্যারিয়ার উপভোগ করতে পারেন। আর আপনি যদি এরকম নিত্য নতুন ব্লগ পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে কানেক্ট থাকবেন।

Tags: নারীদের ১০ টি লাভজনক ঘরোয়া ব্যবসার আইডিয়া, সেরা ব্যবসা,সরকারি সেরা কিছু নিয়োগ,চাকরি পাওয়ার সেরা কৌশল,ঘরে বসে মহিলাদের জন্য সেরা ব্যবসা,ভাল ক্যারিয়ার গড়ার ৭ টি সহজ উপায়,ঘরে বসে কিভাবে টাকা আয় করা যায়,সেরা বাংলা ওয়াজ,সেরা, কিভাবে চাকরি পাবো,ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো,লাভজনক ৬ টি ব্যবসা,মহিলাদের জন্য ১০টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া,ব্যবসা করার আইডিয়া,ক্যারিয়ার টিপস,মহিলাদের জন্য ব্যবসার আইডিয়া,পাওয়ার সেক্টরে চাকরি,নারীদের ঘরোয়া ব্যবসা

Previous Post Next Post